বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা, যা কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত সেই উত্সব পালন হতে আর বেশি দিন নেই। এই ঈদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বহু খামারি বছর জুড়ে পশু পালন করেন।
আর ঈদের বাজারে গিয়ে ক্রেতাও নাদুসনুদুস ও দশাসই আকারের গরুই খোঁজেন।
যে কারণে স্থানীয় খামারিরা সাধারণত বিদেশি জাতের দ্রুত বর্ধনশীল গরু বেছে নেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেড়েছে।
এদিকে, সরকারও দেশি গরুর নানা জাত নিয়ে গবেষণা করছে, যাতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এসব জাতের গরুর উন্নয়ন ও সংখ্যা বাড়ানো যায়।
সাধারণভাবে দেশি গরু বিদেশি জাত বা সংকর জাতের চেয়ে আকারে কিছুটা ছোট হয়।
দেশি জাতের গরুর শরীরে চর্বি কম থাকে।
মাংসে স্বাদ বেশি হয়, কিন্তু দুধের পরিমাণ বিদেশী গরুর তুলনায় কম হয়।
কোরবানির সময় মানুষ সাধারণত বেশি মাংস হবে এমন জাতের গরু খোঁজে।
কিন্তু যেহেতু দেশি জাতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, ফলে দেশি জাত কিভাবে চেনা যায়, সে প্রশ্ন অনেকের।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স ও ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লামইয়া আসাদ বলেছেন, দেশি গরু চেনার উপায় হচ্ছে দেশি জাতের গরুর চামড়া শক্ত থাকে।
এছাড়া এর কুঁজ থাকে এবং গলার নিচে চামড়ার ভাঁজ কম থাকে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বিবিসিকে বলেছেন, দেশি জাতের যেসব গরু বাজারে জনপ্রিয়, তার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আরসিসি, পাবনা ক্যাটল, সিরাজগঞ্জের ব্রিড নামে পরিচিত গরুগুলো উল্লেখযোগ্য।
তো সেই জন্যই অনলাইনে গরু কেনার ক্ষেত্রে আমাদের এই বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে অথবা বিক্রেতার সাথে সঠিকভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে নিতে হবে।