এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড হয়েছে জার্মানিতে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ১৯৬ জন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেশটির বৃহত্তম সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট পাবলিক হেলথ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এটি জার্মানিতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলো করোনায়।
জার্মানিতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত সপ্তাহে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ মানুষ।
কিন্তু এক দিনে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জার্মান স্থানীয় সরকারসমূহের সংগঠন ডিএলটির প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড সাগার দেশটির জাতীয় দৈনিক রিনিশে পোস্টকে বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেস্তোঁরা, পানশালা, সেলুন ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানগুলোতে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা থাকা দরকার এবং শুধু মাত্র টিকার ডোজ গ্রহণকারী ও করোনা নেগেটিভ লোকনজনকেই এসব স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত।
আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জার্মানিতে গঠন হতে যাচ্ছে নতুন জোট সরকার। যে তিন দলের সমন্বয় এই জোট গঠন হচ্ছে, তাদের প্রত্যেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি থাকা সত্ত্বেও দেশজুড়ে লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ জারির বিপক্ষে।
তার পরিবর্ততে প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা ও জনসমাগমপূর্ণ স্থানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
সম্প্রতি জোটের অন্যতম দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংসদীয় উপনেতা ডির্ক ওয়াইজ জার্মানির এআরডি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে জোটভুক্ত দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও বলেন, জার্মানির প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের উচিত- নিজেদের কর্মীদের জন্য টিকার ডোজ বাধ্যতামূলক করা।