বিদেশি কর্মী নিয়োগে এখন থেকে আর কোনও স্পেশাল কোটা ব্যবস্থা থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন বিদেশি কর্মী নিয়োগে স্পেশাল কোটা বাতিলের তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে আসা প্রত্যেকটি আবেদন এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যোগ্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
হামজাহ বলেন, লোকজন যাই বলুক না কেন—কোনও নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইলে তাকে আইন অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়োগকর্তাকে বিদেশি কর্মী কোটা এবং কতজন এই খাতের কাজের জন্য প্রয়োজন তা জানতে হবে। ধরা যাক, কোনও বাগানে কাজের জন্য ১০০০ কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা মাত্র ৪০০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন।
দেশটির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোনও নিয়োগকর্তা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে চান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হামজাহ বলেন, যদি কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ না করা হয় এবং অবাধ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু থাকে, তাহলে বিদেশি কর্মীরা শর্ত এবং মানদণ্ড না মেনেই দেশে প্রবেশ করবেন। এর ফলে কর্মীদের কল্যাণের ব্যাপারে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।
এর আগে, বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হতো নিয়োগকর্তাদের। তবে এখন বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের অভিন্ন নীতি এবং পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।