দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে বর্তমানে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বের উন্নত ৭টি দেশের জোট জি-৭। এছাড়া ওমিক্রনের উত্থান এবং ছড়িয়ে পড়ায় অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে একে-অপরকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছে জোটটি।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। ইংল্যান্ডের লিভারপুলে গত শনিবার জি-৭ এর বৈঠকটি শুরু হয়।
জি-সেভেনের বর্তমান সভাপতি ব্রিটেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আর তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা উচিত বলে একমত হয়েছেন সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং তথ্য আদান-প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে যুক্তরাজ্যের আয়োজনে একটি বৈঠকে অংশ নেন জি-৭ সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা। সেখানে তারা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আরও ছড়িয়ে পড়া রুখতে যথাসময়ে রোগ বা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত করা, আক্রান্ত রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং, টিকা ও রোগ-চিকিৎসা বিদ্যায় সবার প্রবেশের সুযোগ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে ওমিক্রনের ধাক্কায় বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৬ জন।