করোনার নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রমনের সংক্রমন থেকে সতর্ক থাকতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ফের শুরুর পূর্বকার সময়সূচি স্থগিত করেছে ভারত। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
ডিজিসিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক একটি ধরনের আবির্ভাবের প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক চিত্রের যেসব পরিবর্তন হচ্ছে, সেসব আমরা নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করছি।’
‘পাশাপাশি সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।’
‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি যখন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী হবে, সেসময় বিমান চলাচলের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।’
মহামারির কারণে প্রায় দু’বছর স্থগিত রাখার পর গত ২৬ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিসিএ জানিয়েছিল, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ফের শুরু করছে ভারতের সরকার।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২২ জন।
তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, ২৪ নভেম্বরের ৫ দিন আগে, ১৯ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়েছিল ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী। দেশটির সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ ৩০ নভেম্বর জানিয়েছে এ তথ্য।
যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া এই রূপান্তরিত ধরনটির স্পাইট প্রোটিন মূল করোনাভাইরাসের থেকে অনেকটাই ভিন্ন। ফলে, মূল করোনাভাইরাস থেকে এই ধরনটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি- এমন শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালিসহ ১৭ দেশে এই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারতের সরকার। অবশ্য তার কিছুদিন পর শর্তসাপেক্ষে কয়েকটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ চালু করে দেশটি।