ভুট্টার রেকর্ড মজুদের নিচে চাপা পড়েছে চীন। পাঁচ বছরের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সাল শেষে চীনের ইতিহাসে ভুট্টার সমাপনী মজুদ সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছিল। এ সময় কৃষিপণ্যটির দাম কমে যায়। দরপতনের লাগাম টানতে পরের বছর থেকে মজুদ করা ভুট্টা বেচতে শুরু করে দেশটি। তবে এতে সফলতা অধরাই থেকে গেছে। তিন বছরের ব্যবধানে এখনো চীনের গুদামগুলোয় পৌনে ছয় কোটি টনের বেশি ভুট্টা মজুদ রয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও এগ্রিনিউজ।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে চীনে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার টন ভুট্টা মজুদ ছিল। এরপর থেকে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির মজুদ ক্রমেই বাড়তে শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০১৫ সালে দেশটিতে ভুট্টার সমাপনী মজুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি ৭ লাখ ৭৪ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। চীনের ইতিহাসে এটাই ভুট্টার সর্বোচ্চ মজুদ।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশ। বাড়তি মজুদের জের ধরে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির দরপতন দেখা দেয়। ধারাবাহিক দরপতনের লাগাম টানতে মজুদ করা ভুট্টা বিক্রির উদ্যোগ নেয় বেইজিং। পরবর্তী তিন বছরের বিভিন্ন দফায় বিক্রি করে ভুট্টার মজুদ কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। তবে খুব একটা সুফল মেলেনি।
২০১৬ সাল শেষে চীনে ভুট্টার সমাপনী মজুদ ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১০ কোটি ৭ লাখ ১৩ হাজার টনে দাঁড়িয়েছিল বলে জানিয়েছে ইউএসডিএ। পরের বছর দেশটিতে কৃষিপণ্যটির মজুদ দাঁড়ায় ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ১ শতাংশ কম। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছর শেষে বিশ্বের শীর্ষ ভুট্টা মজুদকারী দেশ চীনে কৃষিপণ্যটির সমাপনী মজুদ আরো ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪ হাজার টনে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।