পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা মেললেও তাপ ছড়ানোর আগেই আবার ঘনকুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাতাসে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে সীমান্ত উপজেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহজুড়েই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ এর মধ্যেই ওঠানামা করছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (দিনের তাপমাত্রা) বর্তমানে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঠান্ডার কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগ-বালাই। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন অসংখ্য শীতজনিত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, শীতের কারণে প্রতিবছর সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বর্তমানে বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ এমনিতেই কিছুটা শীতসহিষ্ণু। তবে কয়েকদিন ধরে এখানে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বিকেলের পর থেকে ঘনকুয়াশা শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ উপজেলায় এরই মধ্যে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করা হয়েছে। এর বাইরে জেলার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে।