নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে তিন শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে দুই উপজেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।
এতে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ডোমার উপজেলার চিলাহাটিসহ অনেক এলাকা।
আকষ্মিক এই ঝড়ে ডোমার ও ডিমলা উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলের ক্ষেত। ডোমারের চিলাহাটিতে স্থানীয় দোকানপাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উপজেলার চিলাহাটি বাজারে ব্যবসায়ী আশরাফ কাজল জানান, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ ঝড় শুরু হয়। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিট স্থায়ী ঝড়ে চিলাহাটি বাজারের অসংখ্য দোকানপাটের ছাউনি উড়ে গেছে। চিলাহাটি সরকারি কলেজের সামনে ১১ হাজার কেভি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ঝড়ে ভোগডাবুড়ি ও কেতকিবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় অন্তত তিন শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ সময় অসংখ্য গাছপালা রাস্তায় উপড়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িক বিছিন্ন হয়ে পড়ে। একইভাবে উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নেও ঝড় বয়ে গেছে। এতে উঠতি ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, আমার ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজার, বউবাজার ও বোতলগঞ্জ এলাকাসহ চারটি ওয়ার্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অপর পাঁচটি ওয়ার্ডে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, খগাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপনী ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। এসব ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুই থেকে তিন মিনিটের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরের চাল উড়ে ও গাছ ভেঙে সড়কে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে গাছপালা সরানো হয়েছে।
ডোমার ও ডিমলা উপজেলা প্রশাসন জানায়, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।