ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আস সামছ মো. জগলুল হোসেনের আদালতে আবেদন করেন। মামলার আবেদন করেন রাজধানীর ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের রূপকার মো. আব্দুর রহিম।
এরপর নথি পর্যালোচনা শেষে আদালত মামলাটির আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের পেশাকার শামীম আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলা গ্রহণ করার মতো যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকায় বিচারক মামলাটি খারিজ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী সরকারের কাছ থেকে ৪৭.৯০ একর জমি বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি প্রকল্প বরাদ্দ নেয়। এই প্রকল্পের জমি বিভিন্ন অসদুপায় অন্যান্যদের দখল করতে উৎসাহিত করে আসামি (আতিকুল ইসলাম)। বাদীর প্রকল্পের তৈরিকৃত ভবন ও উন্নয়ন অবকাঠামো প্রতিনিয়ত ভাঙচুর লুটপাট এবং প্রকল্পের ধ্বংস করেছেন আসামিরা। সে সংকল্প নষ্ট করার জন্য ডিএনসিসি ওই আসামির সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং পরস্পর যোগসাজশে ২ একর জমি অন্যায় ও অবৈধভাবে তার ক্ষমতা অপব্যবহার করে দখল করে। গত ২ জুন আসামি উপস্থিত থেকে স্থাপনা ভাঙার সরঞ্জামাদি নিয়ে ভাঙচুর করে ৫ কোটি টাকায় ক্ষতি করে মামলার বাদীর। যাহা দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
এরপর মেয়র আতিক বাদী ও তার পরিবার সম্পর্কে মিডিয়া উল্লেখ করেন যে খাল দখল ও দূষণের উদাহরণ হচ্ছে এ ভাষানটেক প্রকল্প। তিনি আরও বলেন, যেখানে কথা ছিল যে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে, কিন্তু পুনর্বাসন করা হয়নি। রহিমের নামে এক ব্যক্তি খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেন।
অথচ বর্তমানে ভাষানটেক প্রকল্পের নিম্নবিত্ত ২০০০ পরিবার বসবাস করছে। বিগত ৩০ মে একটি জাতীয় দৈনিককে তিনি আরও বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে। আসামি বিভিন্ন মিডিয়া-ডিজিটাল ডিভাইসে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদী ও তার পরিবার সম্পর্কে আক্রমণাত্মক মিথ্যা এবং মানহানির তথ্য প্রকাশ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছে।