ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: নিলামে ইভ্যালির সাত গাড়ির বিক্রির টাকা পাওনাদারদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে নিলাম শেষে এ কথা জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তিনি বলেন, নিলাম খুব সুন্দর হয়েছে। গাড়িগুলোর যে মূল্য পেয়েছি তাতে আমরা খুশি। নিলামে সাতটি গাড়ি মোট দুই কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। নিলাম প্রক্রিয়া বানচাল করার জন্য কিছু সন্ত্রাসী গণ্ডগোল সৃষ্টি করবে বলে শঙ্কা ছিল। তবে পুলিশ ও র্যাবের কড়া নিরাপত্তায় সেটি হয়নি। খুব সুন্দরভাবে ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে নিলাম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাড়িগুলো আমরা নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা করিনি। আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করছি ইভ্যালির পুঁজি বাড়াতে। কারণ পুঁজি বাড়লে পাওনাদারদের ফেরত দিতে পারব। আজকের গাড়ি বিক্রির অর্থ ইভ্যালির আ্যকাউন্টে যাবে এবং ভবিষ্যতেও যেগুলো বিক্রি করা হবে তার একটাই উদ্দেশ্য পুঁজি বাড়ানো। ইভ্যালির পাওনাদারদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে অডিট করার আগ পর্যন্ত আমরা সঠিক সংখ্যাটা বলতে পারছি না।
এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, গাড়িগুলো ইভ্যালির কাজে ব্যবহৃত হতো না। ইভ্যালির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজেদের কাজে এসব ব্যবহার করতেন। কিছু লোক ইভ্যালির কিছু গাড়ি আটকিয়ে রেখেছে, যা আইনের ভাষায় চুরি। আমরা আগামী রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপরও গাড়িগুলো ফেরত না দিলে পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হবে। তাদের কাছে থাকা গাড়িগুলো উদ্ধার করে ভবিষ্যতে আবারও নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
কতগুলো গাড়ি এখনো বাইরে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা চারটি গাড়ির সন্ধান পেয়েছি। তবে এর বাইরেও আরও বেশিসংখ্যক গাড়ি রয়েছে। আগামী রোববারের পর হাতকড়া পরিয়ে তাদের নিয়ে আসা হবে। কারণ অন্যের গাড়ি আটকে রাখা হলো চুরি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করব।
তিনি আরও বলেন, এখনো বাইরে যে গাড়িগুলো রয়েছে সেগুলো ইভ্যালির সাবেক এমডি রাসেল দিয়েছিলেন। আমরা তাদের ঠিকানা পেয়েছি। তারা গাড়ি লুকিয়ে রেখে বাঁচতে পারবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।