আদালতের গঠিত পরিচালনা বোর্ডকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর পাসওয়ার্ড নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কারাগারে থাকা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের প্রতি এ নির্দেশ দেন আদালত।
এজন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এই দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
গত ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
পরিচালনা বোর্ড গঠন করে লিখিত আদেশে আদালত চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ডিরেক্টরস, ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে আলাদা আলাদা নির্দেশনা দেন। এছাড়া ইভ্যালির ঘটনায় উদ্ভূত ফৌজদারি মামলা আইন অনুসারে দেখভাল করতে দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোর্টের নিয়োগ করা কোম্পানিটির পরিচালনা পরিষদকে সহযোগিতা করতেও বলা হয়।
আদেশে আরো বলা হয়, গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস পরিচালনা বোর্ডকে অর্থ ফেরতে চাপ দিতে পারবে না। তবে তারা সমস্যা সমাধানে ইভ্যালির হেড অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন।
পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য রেখেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটি কার্যতালিকায় আসে। সেখানে নতুন বোর্ডের কার্যক্রমের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়। এরপর আদালতের গঠিত নতুন পরিচালনা পর্ষদের কাছে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর পাসওয়ার্ড নাম্বার দিতে কারাগারে থাকা ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রীর প্রতি নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করবেন।