মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদে আটকে থাকা ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কর্মাস গ্রাহকদের অগ্রিম টাকা ফেরত প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বিকাশ ও নগদে আটকে থাকা ইভ্যালির ২২ গ্রাহকের ২ কোটি ৬১ লাখ ফেরত প্রদানের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে।
মো. আবু বকর সিদ্দিকীসহ ইভ্যালির ২১ জন গ্রাহকের রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ২২ গ্রাহক এ রিট করেন। ইভ্যালিতে অর্ডার করা এই ২২ গ্রাহকের ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা বিকাশ ও নগদ গেটওয়েতে আটকা পড়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান বলেন, এই ২২ জন গ্রাহক সেপ্টেম্বর মাসে ইভ্যালিতে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পণ্যের অর্ডার করেন। তারা এখনো পণ্য পাননি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার অনুসারে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য না দিলে অর্থ ফেরত দিতে হবে। তাই অর্থ ফেরতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেছেন।
অর্থ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপকসহ আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।