ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পর আস্থার সংকটে পড়া ই-কমার্স খাত নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। শুরুতে এ খাতকে স্বচ্ছতায় আনতে না পারাকে ব্যর্থতা মানছেন নীতিনির্ধারকরা। পাশাপাশি কিছু উদ্যোক্তার অনিয়ম থামাতে নেওয়া পদক্ষেপেও তাড়াহুড়া ছিল বলে মনে করছেন। তাই এসব ‘ভুল’ ও অনিয়ম শুধরে নতুনভাবে ব্যবসা করার পথ তৈরি করতে চান তারা।
সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় ধরনের অনিয়ম না পেলে ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুনভাবে অভিযান না চালানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত নিয়ে তাড়াহুড়া করা হবে না।
ই-কমার্স নিয়ে নৈরাজ্যের কারণে হাজার হাজার গ্রাহক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। এর পর এ খাতকে শৃঙ্খলায় আনতে নেওয়া হয় বেশ কিছু উদ্যোগ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানকে সভাপতি করে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল দুটি আলাদা কমিটি করে। এর একটি হচ্ছে কারিগরি কমিটি, যার লক্ষ্য ডিজিটাল কমার্স সংক্রান্ত কার্যক্রম, ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা, লেনদেনজনিত ভোক্তা বা বিক্রেতার অসন্তোষ, প্রযুক্তিগত সমস্যা নিরসন করা। আরেকটি কমিটি দেখছে, ই-কমার্স আইন ও ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ গঠনের বাস্তবতা আছে কিনা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩০ জুনের পর গ্রাহকদের যে ২১৪ কোটি টাকা আটকা পড়েছে, তা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। এখন যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের গ্রাহকরা যাতে টাকা ফেরত পান এমন মতামত বাংলাদেশ ব্যাংককে দু’চার দিনের মধ্যে জানানো হবে। আর মামলা রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় আগামীতে এ খাতে নতুন নতুন কী সংযোজন করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। একটি কেন্দ্রীয় তদারক ব্যবস্থা থাকবে। কমন সার্ভারের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা এতে নজরের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করব, পেছনের বিষয় ভুলে এ খাতে বিনিয়োগ করুন। স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যবসা করলে সব খাত থেকে সহযোগিতা করা হবে।