ইভ্যালির সিইও রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসার সুযোগ দেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করছেন ইভ্যালির মার্চেন্ট ও ভোক্তারা।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সাত দফা দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসায় আহ্বান জানান তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো : ইভ্যালির সিইও এবং চেয়ারম্যানের মুক্তি, রাসেলকে সময় দেওয়া, ইক্যাব পেমেন্ট গেটওয়ে মার্চেন্ট এবং ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দেওয়া, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নেওয়া, ই-কমার্স সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দেওয়া।
প্ল্যাটফর্মটির সহ-সমন্বয়ক সাকিব বলেন, আমাদের দাবি রাসেল ভাইকে অন্তত নজরদারিতে রেখে তাকে যেন ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন ছয় মাসের মধ্যে প্রোডাক্ট দেবেন। এক মাসের মধ্যে কিছু প্রোডাক্ট দিয়েছেনও। তাকে আমরা সময় দিতে চাই, এছাড়া আমাদের উপায়ও নেই।
সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাজার হাজার মার্চেন্টের লক্ষ লক্ষ প্রোডাক্ট নষ্ট হচ্ছে, আমরা ভোক্তারা প্রোডাক্ট পাচ্ছি না। এটার নিশ্চয়তা তো লাগবে। সিইও ও চেয়ারম্যান ছাড়া কীভাবে আমরা এসব প্রোডাক্ট পাব? আমরা এই সাত দফা নিয়ে দ্রুত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই, বসে এসব নিয়ে একটা সমাধানে আসতে চাই। এভাবে চলতে পারে না।
প্রধান সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন চাই। বাস্তবায়ন হলে আমাদের সম্ভাবনাময় ই-কমার্স সেক্টরকে অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পারব। আমরা চাই অচিরেই এ দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হোক।