ইভ্যালির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আমিনবাজারে ভাড়া করা ওয়্যার হাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটির পাঁচ সদস্য
সাভারে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চারটি ওয়্যার হাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি। এ সময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল পাওয়া যায়।
সোমবার (৮ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সাভারের আমিনবাজারে ভাড়া করা ওয়্যার হাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটির পাঁচ সদস্য।
কমিটির সদস্যদের জানানো হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর এই ওয়্যারহাউজ থেকে মূল্যবান অনেক মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রতারিত গ্রাহক ও মার্চেন্টের স্বার্থ সুরক্ষায় নিবিড়ভাবে কাজ করছে হাইকোর্ট গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটি। এখানে যারা টাকা লগ্নি করেছিলেন তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কমিটির প্রধান বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষদের যতখানি সম্ভব স্বার্থ সুরক্ষা করে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির কোথায় কী সম্পদ রয়েছে এবং সেগুলো কী অবস্থায় রয়েছে? – সেসব সম্পদ দিয়েই বা দায়-দেনা কতটুকু পরিশোধ করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে কমিটি।”
এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইভ্যালি পরিচালনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পাওয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওএসডি হওয়া আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন, সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শামীম আজিজ।