ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকরা আগামী ছয় মাস পরিচালনা পর্ষদকে অর্থ ফেরতে চাপ দিতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তারা সমস্যা সমাধানে ইভ্যালির হেড অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) বোর্ড গঠন করে দেওয়া আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন নির্দেশনা আছে।
গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন। যেটির পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার পাওয়া গেছে।
এক গ্রাহক ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইলফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু পণ্য না পেয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
তার আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতা ইভ্যালির সব নথি আদালতে আসার পর একটি বোর্ড গঠন করে আদেশ দেন।
চেয়ারম্যান ছাড়া বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন—সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবীর। মাহবুব কবীর এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আদেশে আদালত চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ডিরেক্টরস, ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে আলাদা আলাদা নির্দেশনা দেন। এছাড়া ইভ্যালির ঘটনায় উদ্ভুত ফৌজদারি মামলা আইন অনুসারে দেখভাল করতে দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোর্টের নিয়োগ করা কোম্পানিটির পরিচালনা পরিষদকে সহযোগিতা করতেও বলা হয়েছে।
এছাড়া পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত ২৩ নভেম্বর দিন রেখেছেন।