চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার সর্বত্র এখন ব্যস্ত সময় পার করছে ধান কাটায় নিয়োজিত কৃষাণ-কৃষাণীরা। এবার গোমস্তাপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় কিছুটা হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা।
অবশ্য কৃষি বিভাগের মতে, ধান কাটা যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকলেও সমস্যা নেই। এতে খরচ কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন চাল।
একজন কৃষক জানান, এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-৫১ চাষ করে নিয়মিত পরিচর্যা করায় ফলন ভালো হয়েছে। ধান কর্তনও শুরু হয়েছে। আশা করছেন তিনি ২২৫ থেকে ২৭০ মণ ধান পাবেন। এদিকে প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। কখনও শ্রমিকের যোগান পেলেও অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে আনতে হয় তাদের। জমির ধান উঠাতেও বিলম্ব হয়। এতে অনেক জমিতে ধান ঝরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তবে ধান কাটা এক শ্রমিক বলেন, গত ২দিন থেকে আমন ধান কাটা শুরু করেছেন তিনি। ২০ মণ ধান কেটে দিলে ৪ মণ পাবেন মজুরি। এক বিঘা জমির ধান কাটতে তিনজনের একদিন সময় লাগছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে তারা আনন্দের সাথে ধান কাটছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার জানান, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। নতুন নতুন ধানের জাত দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। এবার গোমস্তাপুর উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৪৭০ হেক্টর, কিন্তু অর্জন হয়েছে ১৫ হাজার ৫১০ হেক্টর। আমাদের হিসাব মতে এখন পর্যন্ত ৫% ধান কর্তন করা হয়েছে।