ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: আলুর জন্য বিখ্যাত ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জ। জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগরে প্রতি বছরের মতো এবারও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও জেলার সব জায়গায় আলুর সমান ফলন হয়নি। তাই লোকসানের শঙ্কা মাথায় নিয়েই চলছে আলু তোলা। মূলত আলুর দাম আর উৎপাদন খরচের বিপরীতমুখী আচরণের কারণেই এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকদের। এবার আলু উৎপাদনে তুলনামূলক খরচ বেশি হয়েছে। তবে সেভাবে দাম বাড়েনি।
কৃষকদের মতে, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলু চাষে গত বছর কৃষকদের খরচ হয়েছিল এক লাখ ৫০ থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো। এ বছর ডিজেল, বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ অন্যান্য সবকিছুর দাম বাড়ায় প্রতি কানিতে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। অর্থাৎ কানিপ্রতি খরচ বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
নিজের জমি পড়ে থাকে তাই চাষ করছি। নিজের জমি না হলে লোকসান দিয়ে এভাবে চাষ করতাম না
কৃষকরা জানান, এ বছর দুবার খরচ করতে হয়েছে বীজ কিনতে। এক দিকে বীজের দাম বেশি অন্য দিকে দুবার রোপণ করাতে লোকসানে পড়তে হবে। প্রথমে আলুর বীজ রোপণ করা হলেও বৃষ্টির পানিতে জমি তলিয়ে যায়। এতে আলুক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে আবারও আলুর বীজ কিনে রোপণ করতে হয়। আবার প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) আলু কোল্ড স্টোরে রাখতে মাসে ১০০ টাকা করে গুণতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে আলুতে খরচ বেড়েছে।