অনলাইন ডেস্ক: কৃষি খাতে চলতি অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। এই অর্থবছরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সব কৃষিঋণের সুদহার ৪ শতাংশ। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে এ নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা বিজ্ঞপ্তির আকারেও জানিয়েছে ব্যাংকটি।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ, গরু মোটাতাজাকরণ, গয়াল ও তিতির পাখি পালনের ক্ষেত্রেও ঋণ দেবে ব্যাংকগুলি। পাশাপাশি ফসল চাষে একরপ্রতি আগের চেয়ে বেশি ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো।
গত অর্থবছরে ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৮ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৭ হাজার ১৭৯ জন কৃষক প্রায় ২১ কোটি টাকা কৃষিঋণ পেয়েছেন।
কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন স্কিম চালু করে। তফসিলি ব্যাংকগুলো গত ৩০ জুন ওই পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় ১৭২ কোটি টাকা এবং সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় শস্য ও ফসল খাতে ২৮৬ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
কৃষিঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে কৃষিঋণে সরকার ৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। এর ফলে কৃষিঋণ বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে কৃষকদের চাহিদা থাকলেও ব্যাংকগুলো তেমন এই ঋণে আগ্রহী না।