ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী। আলু উৎপাদনে মুন্সিগঞ্জের পরেই ঠাকুরগাঁওয়ের অবস্থান। সে হিসেবে দেশে আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে ঠাকুরগাঁও। প্রতি বছর আলু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এ জেলায়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতে সরবরাহ করা হয় এখানকার আলু।
আলুচাষিরা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতি কেজি আলু ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও মাঠে ক্রেতা নেই। উৎপাদিত আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আলুচাষিরা। গত বছর অধিক দামে আগাম আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এবারও লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ঝুঁকেছিলেন তারা। কিন্তু আগাম আলুর বাজারে ধস নামায় লোকসান হচ্ছে তাদের। গত বছর চাষিরা এই সময় প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিলেন ২৫-৩০ টাকা দরে। এবার সেই আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮ টাকা দরে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার ২৭ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমির আলু কর্তন করা হয়েছে। আলু উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৪ মেট্রিক টন। বর্তমান বাজার দরে আলু বিক্রি করে প্রতি হেক্টরে (২৪৭ শতক) চাষিরা দাম পাচ্ছেন ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। আর প্রতি হেক্টর আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। গত বছর জেলায় ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ বলছে গত বছরের কিছু আলু মজুদ থাকায় বাজার দর কম। পুরাতন আলু শেষে হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।