ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সাতক্ষীরায় পাইকারি বাজারে প্রতি মণ তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দোকানে প্রতি কেজি তরমুজ ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ১০ দিন আগেও প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা মেসার্স ফাহিমা সবজি ভান্ডারের মালিক ওমর ফারুক। তিনি তরমুজ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। দাম কম থাকলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না এই ব্যবসায়ী।
পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, এখন প্রতি মণ তরমুজ বিক্রি করছি ২০০-৩৫০ টাকায়। দাম অনেক কম। তবে ক্রেতা না থাকায় তরমুজ পচে যাচ্ছে, ফেলে দিতে হচ্ছে।
সুলতানপুর বড় বাজারের খুচরা তরমুজ ব্যবসায়ী মেসার্স সরদার ইন্টারন্যাশনালের মালিক বাচ্চু মোড়ল জানান, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছি ১০ টাকা। ডাকলেও এখন তরমুজের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। দাম শুনে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা।
আরেক খুচরা তরমুজ বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, আগে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করেছি ৫০-৬০ টাকা। দিনে কমপক্ষে ৫ মণ তরমুজ বিক্রি হতো। এখন প্রতি কেজি ছোট সাইজের ১০ টাকা, বড় সাইজের ১৫ টাকা বিক্রি করছি। দাম কম তবুও দিনে এক মণ তরমুজও বিক্রি হচ্ছে না। ক্রেতা নেই।
একইভাবে বাজারের তরমুজ বিক্রেতা আনসার আলী বলেন, খুব লোকসানে পড়ে গেছি। হঠাৎ তরমুজের বাজারে ধস নেমেছে। দাম পড়ে গেছে। বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। আগে দাম বেশি থাকলেও ক্রেতা ছিল। কিন্তু এখন দাম কম, তবে ক্রেতা সংকট।
সাতক্ষীরা বড় বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জানান, ১০-১৫ দিন আগে প্রতিদিন ৫-৬ ট্রাক তরমুজ বিক্রি হয়েছে। দামও ছিল বেশি। এখন দাম কম। এ বছর তরমুজের ফলন বেশি হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেশি। বর্তমানে বাজারে আম আসায় তরমুজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ক্রেতারা। সে কারণ দামও পড়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ মহসিন হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও রমজান মাসে তরমুজের অনেক চাহিদা ছিল। চাহিদা বেশি থাকা ও বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে দামও ছিল বেশি। বর্তমানে বাজারে আম উঠেছে। সে কারণে তরমুজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ফলন খুব বেশি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে বাজারে এখন তরমুজের সরবরাহ বেশি। সরবরাহ বেশি থাকায় মূল্য কমে গেছে। বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।