পাহাড়ে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং উন্নত চাষাবাদের কারণে রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলায় এবছর ঈর্ষণীয় ফলন হয়েছে তরমুজের। নিউজ টুয়েন্টি ফোরের মাধ্যমে জানা যা, হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। এখন টসটসে, মিষ্টি ও রসালো তরমুজে সয়লাব রাঙামাটির হাট-বাজারগুলো। রাঙামাটির উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বাজারজাত হচ্ছে জেলার বাইরে।
স্থানীয় চাষি সজিব চাকমা জানান, চলতি মৌসুমে রাঙামাটির প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় তরমুজের প্রচুর উৎপাদন হয়েছে। পাহাড়ে তরমুজের অভাবনীয় উৎপাদনে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে অনেক চাষির। বেশ লাভবানও হয়েছেন তারা। তরমুজ বিক্রতা মিন্টা চাকমা বলেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত। আর মাঝারি আকারের প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০০ টাকায়।
চাষী সুমন চাকমা জানান, চলতি মৌসূমে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ে ২ একর জমি বর্গা নিয়ে তরমুজের চাষ শুরু করে তিনি। পাহাড়ের পাদদেশে মাত্র ৩০০ মাদা (গর্ত) মধ্যে তরমুজ চাষ করা হয়। প্রতিটি মাদায় ৩ থেকে ৪টি করে তরমুজ হয়েছে। সময়মত পানি সারসহ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলনও হয়েছে বাম্পার। শুধু এ মৌসুমে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। সম্প্রতি প্রায় ৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি।
রাঙামাটি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর রাঙামাটি জেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে প্রায় ২৪০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন ছিল ৯ হাজার ৬০০। যা সাফল্যজনক। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় তরমুজ আকারে যেমন বড় হয়েছে, তেমনি মিষ্টিও হয়েছে। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি তরমুজের চাষ হয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। এছাড়া সদর উপজেলাসহ বরকল, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও কাউখালীতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় চাষিদের মাঝে চাষাবাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এসব জেলায় টোফেল ও চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজের বীজ আবাদ হয়ে থাকে।
সূত্রঃ নিউজ টুয়েন্টি ফোর