পেঁয়াজ সংরক্ষণে ডাচ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে: কৃষিমন্ত্রী

দেশে পেঁয়াজের সংরক্ষণ এবং সংরক্ষণকাল বাড়াতে ডাচ প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসে সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের ইমেলুর্ডে শীর্ষ স্থানীয় পেঁয়াজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, প্যাকেজিং ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াটারম্যান ওনিয়ন্স’ পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, ওয়াটারম্যান ওনিয়ন্স সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি ও বিপণন করে।

বাংলাদেশ সরকার পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কাজ করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী সেখান থেকে পেঁয়াজের উন্নত জাত, উৎপাদন ও সংরক্ষণকাল বাড়ানোর প্রযুক্তি আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিলে নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানির বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে বলে আলোচনা হয়। কারণ, সেপ্টেম্বরেও সেখানে পেঁয়াজ হারভেস্ট হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

পরে কৃষিমন্ত্রী দেশটির আন্দিকে অবস্থিত শাকসবজি প্রক্রিয়াকরণ, স্টোরেজ সরঞ্জাম ও কৃষিযন্ত্র নির্মাতা-বিপণন প্রতিষ্ঠান ‘অলরাউন্ড ভেজিটেবল প্রসেসিং’ পরিদর্শন করেন।

এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে এরকম শিল্প স্থাপনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সব সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।

নেদারল্যান্ডসে সফররত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য রফতানিকারক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও এ ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। অলরাউন্ড ভেজিটেবল প্রসেসিং কোম্পানি শাকসবজি প্রক্রিয়াকরণে বাছাই, গ্রেডিং, ওয়াশিং, পলিশিং, ওজন, ব্যাগিংসহ হ্যান্ডলিং লাইনের বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র তৈরি করে।

একইদিন কৃষিমন্ত্রী ইমেলুর্ডে অ্যাগ্রোফুড ক্লাস্টারে আলুর উন্নত জাত, উৎপাদন, প্রসেস ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি ঘুরে দেখেন। আলু উৎপাদনে জড়িত বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে রফতানিযোগ্য আলুর উৎপাদন এবং সংরক্ষণে প্রযুক্তিগত সহায়তা কামনা করেন।

এসময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এসিআই এগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম এবং জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।