ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দেশে গত ১৩ বছরে ৭৩টি ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ‘কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’কে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থায়ী কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে ‘বঙ্গবন্ধু ধান১০০’ সর্বস্তরে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে ব্রি ধান৯৬, ব্রি ধান১০১ এবং ব্রি ধান১০২-এর জাতও ব্যাপকভাবে চাষাবাদে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ১৩ বছরে যে ৭৩টি ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাত। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আউশের বিনা ধান২১, ব্রি ধান৮২, ব্রি ধান৮৩, ব্রি ধান৮৫, ব্রি ধান৮৮, ব্রি হাইব্রিড ধান৭; আমনের বিনা ধান২২, ব্রি ধান৮৭, ব্রি ধান৯৩, ব্রি ধান৯৪ ও ব্রি ধান৯৫ এবং বোরোর বিনা ধান২৪, বিনা ধান২৫, ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮১, ব্রি ধান৮৪, ব্রি ধান৮৬, ব্রি ধান৮৮, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রি ধান১০১ ও ব্রি ধান১০২।
কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহা. ইমাজ উদ্দিন, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং হোসনে আরা।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে কমিটি ধানের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে ব্রি ধান৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রি ধান১০১ এবং ব্রি ধান১০২ সর্বস্তরে উৎপাদনে উৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটিতে তেল বীজ ও আউশের বিভিন্ন ভ্যারাইটি উৎপাদন ও গবেষণার জন্য সুপারিশ করে। কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে নতুন ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া এবং কম খরচে অধিক উৎপাদন সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেল বীজ ইত্যাদি দেশি ফসলের উদ্ভাবিত বীজ সব কৃষককে উৎপাদনে উৎসাহিত করতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।