প্রতি বিঘায় ৩৩ মণেরও বেশি ফলন দিচ্ছে বিনাধান-১১। আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে আবাদ করার জন্যও এ ধান উপযোগী। কারণ এ জাতের ধানের চারা ২৫ দিন পর্যন্ত জলমগ্ন অবস্থায় থাকতে পারে। আমন ধানের তুলনায় বেশি ফলন দেয়। এই ধান পানিতে ডুবে ওপরের অংশ পচে গেলেও সেখান থেকে আবার চারা গজায়। তাই নির্বিঘ্নে এ ধান জলমগ্ন অবস্থায়ও চাষ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ময়মনসিংহের চরগবাদিয়ায় বিনাধান-১১ প্রচার ও সম্প্রসারণে মাঠ দিবসের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। অনুষ্ঠানে কৃষকদের সামনে এসব কথা বলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন।
তিনি কৃষকদের আরও বলেন, এখানকার জমি উর্বর। আপনারা এই জমিতে বছরে ৪-৫টি ফসল করবেন। বিনা-১১ কাটার পর সরিষা, শাকসবজি অথবা ইরি ধান চাষ করতে পারেন। এতে আপনারা লাভবান হবেন। পানিতে টানা ২৫ দিন ডুবে থাকলেও চারা নষ্ট হবে না। বিঘাতে পাঁচ কেজি পটাশ দিলে চিটা হবে না। ধানের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
বুলবুল নামের এক কৃষক বলেন, আমি বিনাধান-১১ করে আগের থেকে বেশি ফলন পাচ্ছি। আগে যেখানে সাত শতাংশ জমিতে চাষ করে তিন থেকে চার মণ ধান পেতাম সেখানে এই ধান চাষ করে ছয় থেকে সাত মণ পাচ্ছি।
বিনার গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এবং ড. শামীমা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং ড. মনজুরুল আলম মণ্ডল। এছাড়া প্রায় ৬০ জন কৃষক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।