বারোমাসি পেঁয়াজের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। এই চাষ সফল হলে পেঁয়াজ নিয়ে যে সংকট সেটি আর থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এরকম টার্গেট নিয়ে কাজ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে প্রথমে ৩০ জন কৃষক ও জমি বাছাই করা হয়। সরকারি প্রণোদনার আওতায় তাদের দেওয়া হয় পেঁয়াজের বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তাসহ অন্যান্য সুবিধা।
উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে কৃষকরা সেই বীজ নিয়ে অংকুরোদগম করেন। তারপর জমি তৈরি করে বপন করেন। প্রতিকুল আবহাওয়া যাতে ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য পলিথিন দিয়ে তৈরি করেন ডোল।
কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরামর্শে পেঁয়াজ চাষ নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ওইসব চাষিরা। বাঙালিপুরের বালাপাড়া ও বোতলাগাড়ির সোনাখুলিতে দেখা যায়, পেঁয়াজ চাষে মনোনিবেশ করেছেন চাষিরা। কেউ জমি তৈরি করছেন, কেউবা বপন করছেন, কেউবা পলিথিনের ডোল তৈরি করছেন। কিভাবে বপন করতে হবে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ কাজে কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুনীল কুমার দাস, সৈয়দপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. সালাহউদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মমতা সাহাসহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলার ৩০ জন কৃষকের মাধ্যমে ১০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এ পেঁয়াজের চাষ শুরু হয়েছে। এর থেকে সফলতা আসলে আগামীতে গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে এ পেঁয়াজের আবাদ।
কৃষি বিভাগের মতে, নাসিক বেড-৫৩ জাতের পেঁয়াজ সংক্ষেপে এন-৫৩ দুই মৌসুমে আবাদ করা যাবে। শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই এ জাতের পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি মোকাবিলায় এটি কার্যকরী হবে। ওরিয়ন কোম্পানির এই পেঁয়াজের বীজ মানসম্মত ও পরীক্ষিত বলছে কৃষি বিভাগ।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগম জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরামর্শে কৃষকরা এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মাটি এই জাতের পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। তা আগেই পরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সব ধরনের সাপোর্ট কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।