সৌদি খেজুর চাষের জন্য ৫০ লাখ টাকারও বেশি কৃষি ঋণ পাওয়া যাবে। একজন গ্রাহক পাঁচ একর জমিতে সৌদি খেজুরের চাষ করলে তিনি এ পরিমাণ অর্থ কৃষি ঋণ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
সৌদি খেজুর ছাড়াও ভিয়েতনামী নারিকেল, সুইট কর্ণ ও কফিকে কৃষি ফল ও পণ্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে কৃষি ঋণ বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এবিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচির আওতায় শস্য, ফসল, ফল ও ফুল ইত্যাদির সঙ্গে সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামী নারিকেল, সুইট কর্ণ ও কফি চাষ অন্তর্ভুক্ত মর্মে বিবেচিত হবে। ঋণ নিয়মাচার ও উৎপাদন পঞ্জিকা অনুসরণপূর্বক উক্ত ফল ও ফসলগুলোতে ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
একজন কৃষক সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমিতে সৌদি খেজুর চাষের জন্য সুষম সার, বীজ, সেচ, কীটনাশক, শ্রম, জমির ভাড়াসহ সর্বমোট ৫০ লাখ ২৭ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সর্বনিন্ম শূন্য দশমিক ৫০ বিঘার জন্য এক লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৭ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে।
এছাড়াও ভিয়েতনামী নারিকেল চাষে প্রতি পাঁচ একরের জন্য একজন কৃষক ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ৭১ হাজার ৫০০ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। প্রতি পাঁচ একর জমিতে সুইট কর্ণ চাষের জন্য সর্বোচ্চ ৩৩ লাখ টাকা এবং শূন্য দশমিক ৫০ বিঘা জমির জন্য সর্বনিম্ন ১১ হাজার টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। কফি চাষের জন্য ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা (৫ একর জমি) ও সর্বনিম্ন ৬৪ হাজার টাকা (শূন্য দশমিক ৫০ বিঘা) ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন একজন কৃষক।