খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সাড়ে ২২ লাখ টন খাদ্য মজুতের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ টন খাদ্য মজুতের ব্যবস্থা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এছাড়া আগামী ছয় মাসের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ডিজিটাল কার্ডের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় পরিষদ হলরুমে নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগের মতো কোনো মাস্তান অথবা ব্যবসায়ী গোডাউনে ধান দিবে সেই সুযোগ আর নেই। ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের ধানের নায্যমূল্য প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। কারণ কৃষকরা বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষিতে উন্নতি হলে আমাদের দেশের খাদ্য সমস্যার সমাধান হবে এবং আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থেকে খাদ্যে উদবিত্ত দেশে আমরা রূপান্তিরত হতে পারবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিসিবি পরিচালক এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মমতাজ বেগম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোরশেদ ইকবাল রেজভী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মজিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা প্রমুখ।
প্রান্তিক কৃষকরা যাতে সহজেই সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারে এ জন্য সারাদেশে ২০০টি সাইলো নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি সাইলোর ধারণক্ষমতা থাকবে ৫ হাজার টন। সেখানে কৃষকরা এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভেজা ধান শুকিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। ফলে ভেজা ধান নিয়ে আর কৃষকদের বিড়ম্ভনায় পড়তে হবে না।