দেশি-বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠান থেকে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বাংলাদেশের কাফকো, কাতারের মুনতাজাত ও সৌদি আরবের সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন।
এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৫ টাকা।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।
মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব বলেন, আজকে ক্রয়-কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৩টি উপস্থাপনসহ) ৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১টি এবং জননিরাপত্তা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
এর মধ্যে ক্রয় কমিটি ৫টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে এবং একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯৪ কোটি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৫২৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৯ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৫৬৫ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৫ টাকা।
প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৫ কোটি ৮৫ লাখ ১১ হাজার ৬২৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো; শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১৮৯ কোটি ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (এসএবিআইসি), সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৯০ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।