রাজশাহী প্রতিনিধি:
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পদ্মাপাড়ের শহর রাজশাহী। ভোরে সূর্যোদয় হলেও আড়মোড়া ভেঙে এখনও সজীব হয়ে উঠতে পারছে না সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি।
হেমন্তের স্নিগ্ধ সকালে হাতছানি দিচ্ছে শীতের পরশ। রাজশাহীতে বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৮ মিনিটে। তবে, ঘড়ির কাঁটায় যখন সকাল সাড়ে ৮টা তখনও সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি।
আর ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার আস্তরণ যেন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে। সেসঙ্গে হিমেল হাওয়া কাঁটা দিচ্ছিল শীতার্ত শরীরে।
যতই দিন যাচ্ছে- তাপমাত্রা ততই নিচে কমছে। বলা হচ্ছে এই ঘন কুয়াশা কেটে গেলে বৃষ্টি ঝরবে। কামড় বসাবে শীত। বাড়বে জনদুর্ভোগ। আপাতত: এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে আজও কাক ডাকা বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই মহাসড়কের দূরপাল্লার যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।
কুয়াশার কারণে বর্তমান সড়কপথে দৃষ্টিসীমা ১শ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। এর কারণে সড়কের যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমেছে ট্রেনেরও। ফলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেনের শিডিউল ভাঙতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। বিলম্বে চলার কারণে সময় অপচয় হচ্ছে রেলপথ যাত্রীদের।
উত্তরের সড়ক পথেও একই অবস্থা। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোরে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ফগ লাইট ব্যবহার করেও চালকরা বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। কুয়াশার কারণে অনেক সড়কের বাঁক চোখে পড়ছে না চালকদের। ঘন কুয়াশায় উত্তরের সংযোগস্থল যমুনা সেতুর উভয়পাড়ে দূরপাল্লার যানবাহনের সাড়ি ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশে আজকের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নদীতীরবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।