মেঘনা নদীর জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম। এই বিপর্যয় ঘটে লক্ষীপুরের রামগতি ও কমল নগরের মেঘনা নদীকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় মানুষ শিকার হয়েছেন চরম ভোগান্তির। ঘরবাড়ি, ফসল, পশু, জমি জায়গা সকল কিছুই প্লাবিত হয়েছে এই জোয়ারে। বহু মানুষের জীবন হয়েছে বিপন্ন। মেঘনার জোয়ারে ভাসছে বহু গ্রাম
মূলত শুক্রবারের পূর্ণিমার কারণে জোয়ার সৃষ্টি হয় যার ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৬-৭ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে তেলির চর, উত্তর চর আবদুল্লাহ, চর গাসিয়া ও চর মোজ্জামেল পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
তেলির চর বাজার, কামাল বাজার ও চেয়ারম্যান বাজার পানিতে ডুবে গেছে। তাই বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।এম্ন এক ব্যবসায়ীমো. মোঃ তছলিম ভাষ্যমতে, অস্বাভাবিক জোয়ারে চরের হাট বাজার ডুবে গেছে, দোকানে জোয়ারের পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। চরের কৃষক, রাখাল ও খামারিরা গরু, ছাগল ও মহিষ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন।
স্থানীয় চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মঞ্জুর বলেন, জোয়ার এলেই ডুবে যায় চর আবদুল্লাহর রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার ও বসতঘর। প্রকৃতির কাছে এখানকার মানুষ অসহায়।
এছাড়াও রামগতি উপজেলার মেঘনার ভাঙন কবলিত বালুর চর, চর আলেকজান্ডার, সুজনগ্রাম, গাবতলী, চর আলগী, চর গোঁসাই, চররমিজ, বড়খেরী, চরগাজী, চরগজারীয়ার বিস্তীর্ণ জনপদ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় চর কালকিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার ছাইফ উল্লাহ বলেন, অব্যাহত নদী ভাঙনে বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ার এলেই সব ডুবে যায়। অস্বাভাবিক জোয়ারে বসতঘরে পানি উঠায় মানুষের দুঃখ-কষ্টের যেন শেষ নেই।
কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে সব ডুবে যায়। গত বছরেও জোয়ারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে নদী তীর রক্ষায় বেড়িবাঁধের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে। নদীর তীর রক্ষায় বাঁধ হলে আমরা নিরাপদে থাকতে পারবো।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিশেহারা মানুষ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
[এস কে এন]
মেঘনার জোয়ারে ভাসছে বহু গ্রাম
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতুতে কোটি টাকার টোল আদায় – Voktakantho