ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা করে। ১০০ টাকা ছুঁয়েছে বেগুনের কেজি। সবজির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। মাছ, আলু, পেঁয়াজের দামেও পরিবর্তন আসেনি।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আর বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ছোট ফুলকপি ৩০ টাকা এবং বড় ফুলকপি ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল।
ফুলকপির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকা টমেটোর। এক সপ্তাহ আগে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাছাই করা ভালো মানের পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা।
দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে বেগুন। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে গাজরের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এতে এখন প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
বাজারে নতুন আসা পুঁইশাকের মেচড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। শালগমের (ওলকপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজি ও শাকের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম অস্বাভাবিক। চাল, তেল, চিনি কোনো কিছু ক্রেতাদের নাগালে নেই। এখন সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে ভরপুর সবজি রয়েছে অথচ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিক। এই ভরা মৌসুমে এতদামে সবজি কিনে খেতে হবে আগে কখনো ভাবিনি।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষ অনেক কষ্টে আছে। আমাদের সংসার কীভাবে চলছে তা শুধু আমরাই জানি। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না। প্রতিনিয়ত খরচ বাড়ছে, কিন্তু আয় তো বাড়ছে না।
এদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি।
দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ, আলু, ডিম। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।