আগামী ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক দেশে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি সেবা চালু করতে যাচ্ছে। আর গ্রাহকদের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকায় ২০০টি স্পটে এ সেবা চালু করা হবে।
এজন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাহাব উদ্দিন।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিটিসিএল এক্সচেঞ্জ ভবনে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের জন্য ‘ফাইভজি প্রযুক্তি ও টেলিটকের প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বিক্রয়, বিতরণ ও গ্রাহক সম্পর্ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জি এম) শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে, টেলিটকের কোম্পানি সেক্রেটারি তারঘীবুল ইসলামসহ টেলিটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফাইভজির প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
ফাইভজি রোলআউট নিয়ে টেলিটক এমডি বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর ঢাকার ছয়টি স্থানে ফাইভজির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। আর বাণিজ্যিকভাবে গ্রাহকদের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকায় ২০০টি স্থানে এ সেবা চালু করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তা ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে বিস্তৃত করা হবে।
গ্রামাঞ্চলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সাহাব উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে হাওর-বাওড়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। এসব এলাকায় ডাটার ব্যবহার অনেক বেড়েছে।
ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে কম রেটে টেলিটক ডাটা সুবিধা দেবে। কম দামে ফাইভজি হ্যান্ডসেট দিতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে।
টেলিটকের ক্ষেত্রে দেশের মানুষের ভালোবাসা ও দুর্বলতা রয়েছে জানিয়ে সাহাব উদ্দিন বলেন, আমরাই প্রথম করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বিনামূল্যে ডাটা দিয়ে ক্লাস করার সুযোগ দিয়েছি। ৩৬ হাজার সিম দিয়ে সেই কার্যক্রম শুরু করা হলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা এক লাখ ১২ হাজারে দাঁড়িয়েছে এবং এসব সিমের বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
বর্তমানে পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন, ফলাফল ও পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল টেলিটকের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে, এক্ষেত্রে টেলিটকের সফলতা রয়েছে বলেও জানান টেলিটক এমডি।
ভিওআইপির অবৈধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে টেলিটকের সিম বেশি পাওয়া যায় কেন- প্রশ্নে সাহাব উদ্দিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেব। আমাদের সবচেয়ে কম রেটের কারণে হয়তো একজনের নামে কিনে ব্যবহার করে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে টেলিটকের জি এম শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগের সূত্র ধরে বেশকিছু ডিলার ও রিটেইলারকে তালিকা থেকে বাতিল করেছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যান্য অপারেটরের রিচার্জ সহজলভ্য হলেও রাস্ট্রীয় এ অপারেটরের রিচার্জ সবখানে না পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে টেলিটক এমডি বলেন, টেলিটক গ্রাহকদের রিচার্জ সহজলভ্যতা করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।