সম্প্রতি বাজারে আসা এটাই এখনো পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে দামি ঔষধ। এ নিয়ে গোটা দুনিয়ায় এখন শুরু হয়েছে যুক্তি-তক্ক-গপ্প। যত দূর জানা গেছে, বিরল বংশগত রোগ একেবারে ভালো করে তুলতে পারে এই ওষুধ। বংশগত জটিল রোগের ক্ষেত্রে জিন থেরাপি হিসেবে কাজ করবে নতুন এই Zolgensma। এই ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছে ইউনাইটেড কিংডমের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস।
মানুষের চলনশক্তি নষ্ট করে দেয়ার মতো বিরল রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফির (এসএমএ) আক্রান্ত ব্যক্তির জিন থেরাপি হিসেবে কাজ করবে এ ঔষধটি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি ডোজ জোলজেন্সমার দাম পড়বে ২১ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। খবর: রয়টার্স।
এতোদিন এসএমএ চিকিৎসা হিসেবে বায়োজেনের তৈরি স্পাইনরাজা নামের ওষুধটি ব্যবহৃত হতো। ওষুধটি বাজারে আসার প্রথম বছরে সাড়ে সাত লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এসএমএ চিকিৎসায় এবার স্পাইনরাজাকে টেক্কা দিবে নোভার্টিসের জোলজেন্সমা। এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ। এর আগে স্পার্ক থেরাপিউটিকসের তৈরি অন্ধত্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত লাক্সটেরনা ছিলো সবচেয়ে দামি ওষুধ, যার প্রতি ডোজের দাম পড়ে সাড়ে ৮ লাখ ডলার।
জোলজেন্সমার আবিষ্কারকে রীতিমতো বৈপ্লবিক উদ্ভাবন হিসেবে অখ্যায়িত করা হচ্ছে। এটি শরীরের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া জিনগুলোকে সারিয়ে তুলতে কাজ করবে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে আবার হারিয়ে যাওয়া প্রোটিন উৎপাদিত হবে। পাশাপাশি বিরল এবং জটিল জিনগত রোগ, প্যারালাইসিস, পেশীগত সমস্যা সমাধানে এই ওষুধ কার্যকর। এর প্রয়োগে স্পাইনাল মাসকুলার অট্রফি আক্রান্ত শিশুরা ভেন্টিলেটর ছাড়াই শ্বাস নিতে পারবে। কারণ এই ধরনের রোগে আক্রান্তরা তাদের পেশীগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে নতুন ওষুধ প্রয়োগে তাদের মুখে হাসি ফুটবে এমনটাই মনে করছে এনএইচএস।