মালিতে ফ্যান রফতানি কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ফ্যান রফতানি শুরু করলো সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটনের দাবি, এই রফতানি প্রক্রিয়া বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য পুরো আফ্রিকা মহাদেশে রফতানিতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে ওয়ালটনের ‘ভিশন গো গ্লোবাল ২০৩০’ বাস্তবায়ন। এর আগে উগান্ডা ও তানজানিয়াতে পণ্য রফতানি করেছে ওয়ালটন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর মার্চে মালির বিখ্যাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিম্পারা গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। সিম্পারা গ্রুপের মালি ও সেনেগালে বিস্তৃত ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক রয়েছে। চুক্তির আওতায় এ দুটি দেশে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এবং আইসিটি পণ্যসমূহ বিপণন করবে সিম্পারা গ্রুপ। মালি ও সেনেগালে ওয়ালটনের অথোরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছে গ্রুপটি। মালিতে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইলেকট্রিক্যাল আ্যপ্লায়েন্সের বাজার রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘ইনাগুরেশন সেরেমনি: এক্সপোর্টিং ওয়ালটন ফ্যান টু মালি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় দেশটিতে ফ্যান রফতানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, ইলেকটিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) সোহেল রানা, ডেপুটি সিবিও রুবেল আহমেদ এবং মালি মার্কেটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন আইবিইউ শাখার কর্মকর্তা সাব্বির হাসান খান প্রমুখ।
সোহেল রানা বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হলো আফ্রিকার সম্ভাবনাময় দেশ মালি। করোনা মহামারির মধ্যেও ওয়ালটনের পণ্য রফতানি কার্যক্রম চলমান ছিল। মালিতে ফ্যান রফতানির মাধ্যমে ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি আফ্রিকায় ব্যাপকভাবে ওয়ালটন পণ্য রফতানির সুযোগ তৈরি হলো। ফ্যান দিয়ে মালিতে রফতানি শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে দেশটিতে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্সেস, ল্যাপটপ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ও কম্প্রেসর ইত্যাদি পণ্য যাবে। তার মতে, অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে নেওয়া ওয়ালটনের ‘ভিশন গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এই রফতানি।
এডওয়ার্ড কিম বলেন, বহির্বিশ্বে যেখানে পণ্য যাচ্ছে সেখানেই বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে ওয়ালটন। পণ্য তৈরিতে লেটেস্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও কালার নির্বাচন ইত্যাদি কারণে বিশ্ব ইলেকট্রনিক্স বাজারে দ্রুত গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালটন। আফ্রিকায় অনেকগুলো উদীয়মান অর্থনীতির দেশের মধ্যে মালি অন্যতম। মালিকে সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে দেখছে ওয়ালটন। আমরা আত্মবিশ্বাসী মালিতেও একইরকমভাবে ওয়ালটনের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।
ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের ব্র্যান্ড ম্যানেজার জাকিবুর রহমান সেজান জানান, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বব্যাপী শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে নিজস্ব কারখানায় তৈরি পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। চলতি বছর স্থলবেষ্টিত দেশ মালির শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সিম্পারা গ্রুপের কর্ণধার মামাদৌ ডিট এন’ফা সিম্পারা গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে গেছেন। পরিদর্শনকালে ওয়ালটন কারখানার বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।