২১ জুন সন্ধ্যায় তৈরি পোশাক মালিকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন চলাকালে এসব এলাকার তৈরি পোশাক কারখানা চালু থাকবে এবং লকডাউনে আগের মতোই কঠোর বিধিনিষেধ পালন করেই উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
করোনার ধরন বোঝা গেলেও এবার কিছুই বুঝতে পারছি না। এটা ভয়ের একটা কারণ বলা যায়। আমাদের এ ভয় থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানাটা আরও কঠোর হয়। শ্রমিক বাঁচলে কারখানা বাঁচবে আবার কারখানা টিকিয়ে রাখতে উৎপাদনও প্রয়োজন। আসছে ঈদে বেতন-বোনাসসহ চলতি মাসের ১৫ দিনের বেতনও দিতে হবে আবার শ্রমিকও বাঁচাতে হবে। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করছি আগের মতোই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের, জানান বিকেএমইএ সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান।
সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এ ব্যপারে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি-নিষেধ নিয়ে বলার নেই। আগের মতোই কঠোর স্বাস্থ্যসুরক্ষা ঠিক রেখে উৎপাদনে থাকতে হবে। তাছাড়া আমাদের মনিটরিংও রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যসুরক্ষা শতভাগ মেনেই আগের মতো উৎপাদনে থাকতে চাই। এ বিষয় নিয়ে কোনো কারখানায় কোনো অজুহাত আগেও শোনা হয়নি এখনও হবে না।