নেদারল্যান্ডসে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা উদ্যোগের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ একটি শক্তিশালী শিল্পে পরিণত হয়েছে। পোশাক শিল্প আজ শক্তিশালী
করোনা অতিমারি চলাকালেও যেন জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণ
থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়েও বিজিএমইএ অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে
বিশেষ করে শ্রমিকদের কল্যাণ ও সুষম শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি পোশাক শিল্পে শিশুশ্রম অপসারণ এবং নিম্নতম মজুরি নিশ্চিত করে
যথা সময়ের মধ্যে মজুরি পরিশোধ, কর্ম পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত রাখা এবং এ ধরনের আরও অনেক কমপ্লায়েন্স
প্রতিপালন শুরু হয়েছিল। আজ এ শিল্পটি কমপ্লায়েন্স ও শ্রম অধিকারের সব ইস্যুতেই নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
এছাড়া সরকারের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় তহবিল গঠিত হয়েছে, যেখানে শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য
পোশাক কারখানাগুলো তাদের রফতানি আয় প্রাপ্তির বিপরীতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে।
তিনি নেদারল্যান্ডস সরকার ও নেদারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসএনভিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পোশাক শিল্পে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য ও তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।
আরো সংবাদ পড়ুনঃ পরিবর্তন আসছে জন্ম নিবন্ধন, বিধিনিষেধ অমান্য করায় জরিমানা
ভোক্তাকণ্ঠ পোশাক শিল্প আজ শক্তিশালী
কিন্তু জন্ম নিবন্ধনের তুলনায় যথাসময়ে মৃত্যু নিবন্ধনের হার আশানুরূপ নয়।
আগামীতে দেশের সব নাগরিকের জন্য শুদ্ধ তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে মৃত ব্যক্তির
উত্তরসূরিগণের মৃত্যু নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার অভাব,বিষয়গুলো প্রস্তাবে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
‘জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস’ এর পরিবর্তে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবস’ উদযাপন করা হলে জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে সার্বিক জনসচেতনতা তৈরি হবে।