নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বাংলাদেশে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার ৫০ বছর এবং ‘ইন সার্চ অব জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অব ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এসব কথা বলেন।
এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ও পারিবারিক সহিংসতা বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার এবং একটি ব্যাপক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘২০২২ সাল একটি বিশেষ বছর। কারণ, আমরা বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭২ সাল থেকে জার্মানি একটি প্রধান অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটি আমাদের অগ্রাধিকার খাত, যেমন- প্রশাসন, জলবায়ু, জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সহিংসতার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যেকোনও পরিস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থাসহ সব সেবা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া যারা মহামারির সময়ে পারিবারিক এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন যেসব নারী, তাদের সহায়তা প্রদানের উপায় বের করা খুবই জরুরি।’
অনুষ্ঠানের শেষভাগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার ‘ইন সার্চ অব জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অব ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এরপর প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির কো চেয়ারম্যান সারা যাকের বইটি থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান।