নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য না পাওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ফাল্গুনী শপের নামে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের এই প্রতারণার কথা ছড়ালেও তারা তা তোয়াক্কা না করেই তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
কুমিল্লার রিঙ্কু সওদাগর পণ্য অর্ডার করে অগ্রিম টাকা দিয়ে তারপর ফাল্গুনী শপের থেকে সেই পণ্য পাননি। তিনি বলেন, “ফোন দিলে তারা নির্দিষ্ট সময় দেন। নির্দিষ্ট সময় ফোন দিলে তারা আবার সময় দেন এবং তখন বলে যাকে খুঁজছেন সে নেই”।
তেমনি আরেকজন অর্ডারকৃত পণ্য নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পাননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। ঠিক এভাবেই হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঢাকার নাদিরা আক্তারও।
গত 26 মে ঝালকাঠির জাহিরুল ইসলাম তার সাথে ঘটে যাওয়া ফাল্গুনী শপের বর্ণনা দেন এভাবে , “ আমি আলমারি অর্ডার করেছিলাম এবং ২৫০০/- অগ্রিম প্রদান করেছিলাম। প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে পন্য পাঠানোর কথা ছিলো। সাত কর্মদিবস শেষ হলে তারা ১২ ই মে পণ্য দেয়ার কথা বলে। ১২ ই মে ফোন দিলে আবার ২২ মে পণ্য দেয়ার কথা বলে। ২২ মে ফোন দিলে আজকের তারিখ দেয়। আজ সকাল থেকে ফোন দিলে কোন রিসিভ হচ্ছে না। পরে জানতে পারলাম প্রতারক রা গ্রেফতার হয়েছে। আশা করি এর সুষ্ঠ বিচার হবে এবং আমার ক্ষতিপূরণ পেতে সহযােগিতা করবেন।”
অভিযোগ কেন্দ্রের এই ৪ জনের অভিযোগ এখনো নিষ্পত্তিযোগ্য রয়েছে। ফাল্গুনী শপের প্রতারণার সাথে যারা যুক্ত ছিলেন তারা গ্রেফতার হলেও তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তার আবারও সক্রিয় হয়েছেন। তারা বলছেন এসব প্রতারণা কর্মকান্ডে তারা জড়িত ছিলেন না, তাদের নাম ব্যাবহার করেই এইসব প্রতারণা করা হয়েছে। যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা এই বিষয়টি মানতে নারাজ।
আরও পড়ুন : শিক্ষার দোহাই দিয়ে প্রতারনা – VoktaKantho.com