মুন্সীগঞ্জের মিজানুর রহমান হাসানের মতে পার্সেল হারিয়ে ফেলা বা পার্সেল আনার ব্যাপারে তথ্য না দেওয়া যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উনার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পর রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিস(RedX Courier Service) এর বিরুদ্ধে এই মতবাদটি প্রকাশ করেন।
কুরিয়ার ডেলিভারি সমস্যা এখন খুবই কমন একটা বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এই সমস্যা বহু বছর ধরেই আছে কিন্তু আজকে থেকে ১০-১৫ বছর আগে যখন হাতেগোনা কয়েকটা কুরিয়ার ছিলো যেমন এস পরিবহণ, সুন্দরবন, রেইনবো, কন্টিনেন্টাল, জননীসহ আরও বেশ কিছু, তখন এখনকার মত দূরপাল্লার কুরিয়ারে এতটা সমস্যা শুনা যায় নাই। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে তা খুব বেশি শুনা যাচ্ছে।
শিক্ষক মিজানুর রহমান হাসানের ভাষ্যমতে, “নীলক্ষেত থেকে RedX Courier সার্ভিসের মাধ্যমে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট রেডএক্স এর মাধ্যমে সেন্ড করি। সাধারণত নীলক্ষেত থেকে রেডএক্স এর মাধ্যমে কোন প্রােডাক্ট সেন্ড করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডেলিভারি পেয়ে থাকি বলে অন্যান্য কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ে রেডএক্সকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। বরাবরের ন্যায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট দ্রুত পাওয়ার উদ্দেশ্যে নীলক্ষেত থেকে সেন্ড করার পর আজ ২৭/৫/২০২১ পর্যন্ত আমার প্রােডাক্টের কোন আপডেট পাচ্ছি না।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়েবসাইটে ট্র্যাকিং করলে দেখা যাচ্ছে ৫ দিন যাবৎ ‘পার্সেলটি পাঠানো হচ্ছে’। আমার ব্যক্তিগত কাজে পার্সেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আমি তাদের হেল্পলাইনে কল করে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, পার্সেলটি এখন যেই জায়গাতে আছে আমি সেখান থেকে স্বশরীরে নিয়ে আসবে। কিন্তু তারা আমাকে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় আমার ব্যক্তিগত একাধিক কাজে বেশ বড় পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনিতেই করােনার কারণে শিক্ষকগণ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এরই মধ্যে এমন আর্থিক ক্ষতি আমাকে মানসিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”
এই সমস্ত কিছু তিনি ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। পরিশেষে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন , “কিছু ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে জানতে পারি, পার্সেল হারিয়ে ফেলা বা পার্সেলের আপডেটের ব্যাপারে তথ্য না দেয়া তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর বিরুদ্ধে এরকম অভিযােগ করেছিলাম এবং ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিযোগ বর্ণনায়। বর্তমান অভিযোগটি এখনো নিষ্পত্তি এর পর্যায় রয়েছে।
অনলাইন পণ্য ক্রয়ের যে পরিমাণ চাহিদা তৈরি হয়েছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে কুরিয়ার ডেলিভারির জনবলও বৃদ্ধি হয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি অনেক তৈরি হলেও কোয়ালিটি সম্পন্ন কুরিয়ার সার্ভিস কম তৈরি হয়েছে। তাই এরকম অভিযোগ ফেস করতে হচ্ছে আমাদের।
আরও পড়ুন ঃ বইয়ের ভিতর অন্য বই – VoktaKantho.com