ইভ্যালি থেকে গতবছরে পণ্য অর্ডার করেও এখন পর্যন্ত হাতে পায়নি ক্রেতা। যেখানে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি তাদের। এমনকি অর্ডার ক্যান্সেল করে টাকা ফেরত নিতে চাইলেও তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
তাই প্রতিকার পেতে জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে ইভ্যালির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেন মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর ২০২০ ইং আমি একটি ওয়াশিং মেশিন অর্ডার (Invoice: EVL001187274) করি এবং ৩১ অক্টোবর ২০২০ ইং সম্পূর্ণ টাকা (৬১৯০০ টাকা) পরিশোধ করে দিই। ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পন্যটি ডেলিভারি করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি তা করা হয় নাই। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সাথে উপর্যুপরি যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা নেন নাই, উপরন্তু দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকেন। অর্ডার ক্যান্সেল করে টাকা ফেরত নিতে চাইলেও তারা টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়।’
এছাড়া ইভ্যালির এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন দেশের অনেক ভোক্তা। বিশ্বাস কমে যাচ্ছে অনলাইন শপিং-এর উপর।
ইভ্যালির হয়রানির শিকার প্রবাল কুমার সরকার অভিযোগ করেন যে, তিনি 13 ই ফেব্রুয়ারি ই-কমার্স অনলাইন প্লাটফর্ম ইভ্যালি থেকে একটি মোবাইল ফোন অর্ডার করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি তা পাননি।
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন মাহমুদুন নবী জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘মার্চের প্রথম সপ্তাহে তিনি একটি অ্যালুমিনিয়াম মাল্টিপারপাস ল্যাডার অর্ডার (EVL012150357) করলেও তা এখন পর্যন্ত পাইনি।’
ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ। কোন প্রতিষ্ঠান যদি সময়মতো পণ্য কিংবা টাকা ফেরত না দেয় তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন ভোক্তা। তাই অভিযোগ করুন এবং পাশে থাকুন ভোক্তাকণ্ঠের।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়শপের হয়রানিতে অতিষ্ঠ ক্রেতারা
আরও পড়ুনঃ নিম্নমানের খাবার এবং ভোক্তা প্রতারণার বড় কারিগর ক্যাফে দর্বার