সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। গত শনিবার থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে উপস্থিতি বেড়েছে ক্রেতার। ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে শনিবার থেকে বিক্রি বেড়েছে তিন থেকে চার গুণ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রায় সবগুলো দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। কেউ বস্তা হিসেবে চাল কিনছেন, আবার কেউ ভিড় জমিয়েছেন মসলার দোকানে। ক্রেতাদের বেশিরভাগই লকডাউন ও ঈদকে উপলক্ষ করেই কেনাকাটা করছেন। যার পরিমাণটি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
আলু পিয়াজ বিক্রেতা আহসান বলেন, গত ১৫দিন স্বাভাবিক বেচা-বিক্রি ছিল। লকডাউন ঘোষণার পর গত শনিবার থেকে বাজারে উপচে পড়া ভিড়। তার রেশ এখনও কিছুটা আছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। প্রথমদিকে সাধারণ সময়ের চেয়ে ৪ গুণ বেশি বিক্রি করতে পেরেছি।
চাল ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, সাধারণ সময় দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার চাল বিক্রি হয়। কিন্তু শনিবার ৫৮ হাজার টাকার চাল বিক্রি করেছি। রোববার ও সোমবারও ভালো বিক্রি হয়েছে। কী হয় না হয় সেটা ভেবেই হয়তো মানুষজন দরকারি চালটুকু ঘরে রাখছে।
সাধারণ সময় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার চাল বিক্রি করতাম। শনিবারে ১ লাখ টাকার চাল বিক্রি করেছে। রোববার ও সোমবার অনেকটা ভালো গেছে। তবে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন চালের বড় আড়তদাররা।
তারা বলছেন, বিক্রি আগের মতোই স্বাভাবিক আছে , বলে জানান কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা মো. বাচ্চু।
সামনে লকডাউন, তার ওপর ঈদ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এবার বেশ কড়াকড়ি হবে। তাই কিছুটা খাবার সংগ্রহে রাখছি। সব সময়তো বাজার করার সুযোগ হয় না। অন্তত খাদ্যের অনিশ্চয়তায় যেন না পড়তে হয় ততটুকু বাজার করেছি, জানান এক ক্রেতা।
এভাবে অনেক মানুষকে গাড়ি বোঝাই করে বাজার নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পশুবাহী যান চলাচল নিয়ে নতুন নির্দেশনা
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন