চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। পাইকারি বাজারে ৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও দুই বাজারের দামের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা গেছে।
লকডাউনের কারণে বাজারে পেঁয়াজ কম আসছে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে।পাইকারির তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকার মতো বেশি দেখা গেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে, বলছেন ব্যবসায়ীরা।
বোরোতে কৃষকে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ৩০ এপ্রিলের পর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। সভায় বেসরকারি পর্যায়ে শুল্ক কমিয়ে সীমিত পরিমাণ নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। এমনকি সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বাড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম।
কমেনি তেলের দামও। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর পাম সুপারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
এদিকে, গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া আদা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কিছুটা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে। কারণ শোনা যাচ্ছে কম দামে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এই পেঁয়াজ বাজারে এলে দেশি পেঁয়াজের দামও কমবে। তাছাড়া লকডাউনের কারণে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে পেঁয়াজের চাহিদা এখন একটু কম।
আরো সংবাদ দেখুন: পেঁয়াজের দাম