গত বছর কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রিতে যে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছিল এ বছরেও কি তেমন হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতা-বিক্রেতা সহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
গত কোরবানি ঈদে দেখা গেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা খুব অল্প দামে পশুর চামড়া গুলো কিনেছেন। এমনকি এই চামড়াগুলো আড়তদারদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। অনেক আড়তদাররা চামড়াগুলো নিতে চায়নি।
সে সময় অনেক এলাকায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায় এবং ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। এরপরও এইসব চামড়া কেনার পর আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে গেছেন অনেক ব্যবসায়ীরা।
চলতি বছরের শুরু থেকে রপ্তানি বাজার কিছুটা ভালো। তবে এই ভালো টা যথেষ্ট নয়। এখনো বাজার আগের মতো হয়নি।
এর কারণ হিসেবে ট্যানারি মালিকরা জানান, এখনও ট্যানারিগুলোতে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার চামড়া জমে রয়েছে। রফতানি বাজার কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যেতে আরও অনেক সময় লাগবে।
গত বছর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার নির্ধারিত দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। কিন্তু বাস্তবে সেই দামও পায়নি মানুষ।
চামড়ার দাম নির্ধারণের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘চামড়ার দাম ঠিক রাখতে ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে প্রায় ৩০ বছর পর। যদিও সেটা সীমিত পরিসরে শর্তসাপেক্ষে। গত ১০ জুলাই এক কোটি বর্গফুট চামড়া রফতানির অনুমতি পেয়েছে পাঁচটি ট্যানারি। প্রয়োজনে আরও কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানি করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বলছে, ‘এছাড়া ঈদের দিন থেকে দেশব্যাপী কঠোরভাবে বিষয়গুলো মনিটরিং করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত মনিটরিং টিম। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এ বছর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জেলা পর্যায়ে চামড়ার দাম মনিটরিং করবে।’