সকল প্যাকেটজাতকৃত খাদ্য এবং পানীয়তে লেবেলিং থাকা বাধ্যতামূলক।লেবেলিং ক্রেতাদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার পছন্দে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তাই খাদ্য পণ্য ক্রয়ের আগে অবশ্যই লেবেলিং পড়ে সঠিক খাদ্য পণ্য পছন্দ করুন। প্রতারণা এড়াতে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা,২০১৭ অনুযায়ী ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের কিছু নীতিমালা অনুসরণ করার নির্দেশনা দেয়া আছে।
খাদ্য ব্যবসায়ীদের করণীয়-
১.মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং বাংলা ভাষায় করুন।
২.মোড়কাবদ্ধ খাদ্যের লেবেলে বাধ্যতামূলক পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যাদি সংযুক্ত করুন ।
৩.লেবেলে তথ্যাদি সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন।
৪.লেবেলে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ হতে বিরত থাকুন।
ক্রেতাদের করণীয়-
ক. মোড়কাবদ্ধ খাদ্য ক্রয়ে অবশ্যই উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিন।
খ. আমদানিকৃত খাদ্যে আমদানিকারকের নাম,অমোচনীয় কালিতে ছাপ দেয়া আছে কিনা তা দেখে কিনুন।
লেবেলে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন এবং তা দেখে ক্রেতারা ক্রয় করুন।
১। উৎপাদক,মোড়কজাতকারী,সরবরাহকারী বা বাজারজাতকারীর নাম ও ঠিকনা;
২। খাদ্য উপাদান বা উপকরণের ধরন ও নাম;
৩। ব্যাচ, কোড বা লট নম্বর;
৪।নেট ওজন বা আয়তন বা সংখ্যা ও মোট ওজন;
৫।উৎপাদনের তারিখ (Date of Manufacture);
৬।মোড়কীকরণের তারিখ (Date of Packaging) ;
৭। মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ(Expiry Date) বা ব্যবহারের সর্বশেষ তারিখ( Use by Date);
৮। উত্তম ভোগের সর্বোচ্চ তারিখ (Best Before Date);
৯।পুষ্টিগত তথ্যাবলি;
৮।খাদ্য -সংযোজন দ্রব্য;
৯। নির্দেশনা ব্যতীত খাদ্য বা খাদ্যপণ্যের সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব না হলে,উহার ব্যবহার নির্দেশনা।
সচেতন হয়ে খাদ্য কিনি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি।