নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুর ও পৌষার পুকুরপাড়সহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা রিকশার পরিবর্তে নৌকা দিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকার ব্যস্ততম সড়কগুলো।
রাস্তায় কোমর পানি জমে আছে। নৌকা ছাড়া চলাফেরা করার কোনো বিকল্প নাই। এক মিনিটের পথ রিকশাচালকদের তিনগুণ ভাড়া দিতে চাইলেও চালকরা যেতে রাজি নয়। সে পথ নৌকায় পাড়ি দিতে খরচ হচ্ছে ২০ টাকা। ফলে চমর ভোগান্তিতে পড়ছে এ এলাকার বাসিন্দারা।
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তা থেকে শুরু করে মানুষের ঘরে এখন পানি আর পানি। মনে হচ্ছে এই এলাকায় বন্যা হয়ে আছে। প্রাইভেট গাড়ি অন্যস্থানে রেখে বাড়ি থেকে নৌকায় চড়ে শুকনো স্থানে গিয়ে গাড়িতে উঠে কর্মস্থলে যাচ্ছেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা এলাকার মানুষরা। তারা ভেবেছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা (ডিএনডি) প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি থেকে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে নৌকায় চড়তে হয়। তার বাসা পর্যন্ত নৌকা ভাড়া ২০ টাকা। পাঁচ মিনিটের রাস্তায় যেতে লাগে মিনিমাম ২০/২৫ মিনিট। কখনো আবার নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হলেও জনপ্রতিনিধিরা সমাধানের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না, বলে ক্ষুব প্রকাশ করেছেন পৌষাপুকুরের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা।
ফতুল্লার লালপুর, পৌষারপুকুর পাড়, আল আমিন নগর, উত্তর ইসদাইর এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে বসানো হয়েছে শক্তিশালী তিনটি মোটর। কিন্তু প্রায়ই এ মোটর বন্ধ রাখার অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও তা অস্বীকার করেছেন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। তাদের দাবি দৈনিক ১৮ ঘণ্টা মোটর চালিয়েও পানি পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, জলাবদ্ধতার কথা বলার কিছু নাই। আমিও বাসা থেকে বের হয়ে নৌকায় সড়ক পার হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এ রাস্তায় কোনো রিকশা চলাচল করতে পারছে না। মোটর দিয়েও পানি অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।