অনাবৃষ্টি ও করোনার প্রভাবে আউশের চারা রোপণে কৃষকরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১২ হাজার কৃষক আউশ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উন্নত জাতের হাইব্রিড বীজে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কৃষকদের। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ, রাবারড্রাম ও ইছামতি খালের বাঁধ নির্মাণের কারণে এ বছর আউশ চাষ বাড়তে পারে বলে জানাগেছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৭ শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর ৪ হাজার হেক্টর আউশ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১২ হাজারেরও অধিক কৃষক ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আউশের চারা রোপণ শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস অধিক ফলন ফলাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে নতুন জাতের হাইব্রিড ১২০৩, ১২০৫, টিয়া, হিরা, শক্তি, বিনা ১০, বিনা,১৫, বিনা ১৯, বিনা ৬৫, বিনা ৮২, বিনা ৮৩ ও বিনা ৮৫ সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের বীজ এনে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে প্রদান করেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি’র প্রচেষ্টায় এ বছর উপজেলার উপকূলে বাঁধ নির্মাণ, বরুমচড়া ভরা সঙ্খের খালে হাইড্রলিক বাঁধ নির্মাণ ও ইছামতি খালে বাঁধ নির্মাণে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে কৃষকরা। এ বাঁধ নির্মাণের কারণে চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া, ইছাখালী, কৈনপুরাসহ হাইলধর, পরৈকোড়া, জুঁইদন্ডি ও রায়পুর ইউনিয়নের পতিত জমিও আউশ চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়নে ৪ হাজার হেক্টর আউশের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ও ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে নতুন জাতের বীজ এনে ৭ শ ৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।