আগামী ২০ জুন থেকে প্রথমবারের মত সব বিভাগ বন্ধ করে খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনার আরেকটি ইউনিট করা হচ্ছে। এ ঘোষণা সম্বলিত নোটিশ টাঙানো হয়েছে হাসপাতালের সামনে।
হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি রয়েছেন, তাদের আজকালের মধ্যে ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছাড়পত্র পাওয়া রোগী অথবা নতুন রোগীরা কোথায় চিকিৎসা নেবেন সে বিষয়ে ইতিবাচক কোনো মন্তব্য দিতে পারেননি তারা।
হাসপাতালের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। আর হাসপাতালের গাইনি, সার্জারি, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে নেই কোনো মানুষ। কিছু ওয়ার্ডে ঝুলছে তালা, শয্যাগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। হাসপাতালের সেবিকারা পার করছেন অলস সময়।
‘২০ জুন থেকে ৭০ শয্যা নিয়ে চালু হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ইউনিট। তবে এখানে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা পাবে না রোগীরা। নেই পর্যাপ্ত হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলা। সে ক্ষেত্রে অতি জরুরি রোগীকে নিয়ে যেতে হবে খুমেকের করোনা ইউনিটে। তবে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট থাকায় হাসপাতালে সিলিন্ডার অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে না, জানান খুলনা জেনারেল করেনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ।
ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘অর্গানোগ্রামে না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে রোগীদের সেবা নিয়ে ভাবনায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।’
‘এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে আটজন চিকিৎসক নিয়ে আসা হয়েছে। তারাই রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করবেন’ , বলে জানান খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা।