বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ কমায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম।
খুচরা ক্রেতাদের তাই অতিরিক্ত পয়সা গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে, মাছের ভালো দাম পাওয়ায় স্বস্তিতে পুকুর মালিকরা। তবে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।রাজশাহী বায়াবাজারে ওজনভেদে প্রতি কেজি মাছের দাম।
কাতলা-২৪০/২৫০ টাকা, রুই-১৮০/৩৩০, মৃগেল- ১৪০/৩২৫, মিনার কার্প – ১৩৫/ ২৬৫, সিলভার কার্প- ১২৮/২৩০, পাঙাশ-১২০/১৫০, তেলাপিয়া- ১৫০, ট্যাংরা- ৩০০, পুঁটি-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেঘলা আকাশ, থেমে থেমেই নামছে বৃষ্টি এসব এলাকাতে। আর এ কারণে পুকুর বা জলাশয়ে মাছ ধরতে নামেননি জেলেরা। সঙ্গে লকডাউনের প্রভাবেও শহরে আসেনি মাছের অনেক বিক্রেতা। এতে উপজেলার পুকুরগুলো থেকে হাতেগোনা কিছু মাছের গাড়ি এসেছে রাজশাহীর বায়াবাজারে।স্বাভাবিকভাবেই বাজারে কমেছে মাছের সরবরাহ। তাতে মাছের নিলামে ভোর থেকেই চলে খুচরা বাজারের ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি।
গত তিন দিন থেকেই পাইকারি বাজারে বাড়ছে মাছের দাম। রুই-কাতলা-মৃগেলসহ জাত ও ওজনভেদে প্রতি কেজি মাছে বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এতে বাড়তি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন খুচরা বাজারের বিক্রতারও। জানান বাজারে আসা তারা। যার ভার পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর। অবশ্য মাছের অব্যাহত দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ ও পুকুর লিজের লোকসান কাটিয়ে উঠার সম্ভাবনায় খুশি পুকুর মালিকরা। পবার পুকুর মালিক মাহমুদ আলী ও গোদাগাড়ীর সফিকুল হক একই কথা জানান।রাজশাহী বায়াবাজারে প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।