লকডাউনের সময় খুলনা জেলা ও মহানগরের মধ্যে বাইরের কোনো বাস ও ট্রেন ঢুকতে পারবে না এবং বেরও হতে পারবে না। এ ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল ও হাটবাজার বন্ধ থাকবে।
আজ রোববার বিকেলে খুলনায় লকডাউনের জন্য জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এক সপ্তাহের ওই লকডাউন শুরু হবে। চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত। গতকাল শনিবার জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির এক বৈঠকে খুলনায় এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন চলার সময় খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহির্গমন বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে বা আন্তজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বন্ধ থাকবে ইজিবাইক, থ্রি–হুইলারসহ সব যানবাহন চলাচল।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, লকডাউনের সময় জেলা ও মহানগরের মধ্যে সবধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান খোলা রাখা যাবে। ওই সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ শুধু টেকওয়ে অথবা অনলাইনে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এ ছাড়া বন্ধ থাকবে সবধরনের পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র।
অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসের জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস চলাকালে তাঁদের নিজ নিজ অফিসের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবেন।
এর বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি উপকরণ, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরে (স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে। উৎপাদনশীল শিল্প ও কারখানা উৎপাদন কার্যক্রম বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা। মানুষকে কয়েক দিন আটকে রাখতে পারলে করোনার সংক্রমণ অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
সুত্র: প্রথম আলো/এমএস